আপনি বা আমি কিন্তু কখনোই ভেবে দেখিনা যে কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে। আমরা শুধু মাত্র কম্পিউটারকে টাস্ক দিয়ে যাই এবং বদলে কম্পিউটার আমাদের টাস্ক সম্পূর্ণ করে দিলেই ব্যাস। সে কীভাবে তা সম্পূর্ণ করলো বা কি কি প্রসেস চালালো তা নিয়ে আমরা কখনোই মাথা ঘামাতে চাই না।
কিন্তু আপনার কম্যান্ড দেওয়া প্রত্যেকটি কাজ করার জন্য কম্পিউটারকে বহুত প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হয়। যে প্রোগ্রাম গুলো আপনার কম্পিউটারের সকল কাজ যেমন মিউজিক প্লে, ভিডিও প্লে, ওয়ার্ড টাইপ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল সেন্ড ইত্যাদি করে থাকে তাদের মূলত বলা হয় অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপস। কিন্তু এই সকল অ্যাপ্লিকেশন গুলো জার উপর দিয়ে চলে বা রান হয় সেটিই হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস।
অপারেটিং সিস্টেমকে কম্পিউটারের সকল বেসিক কাজ গুলো করতে হয়। যেমন অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে কখন আপনার স্ক্রীনে কি প্রদর্শন করা হবে, আপনি কী-বোর্ডে কোন কী কখন চাপলেন, প্রসেসর গরম হয়ে গেলে ফ্যান চালু করতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম সকল তথ্য হার্ডড্রাইভে সংরক্ষন করে এবং প্রয়োজনে ডাটা আবার অ্যাক্সেস করে। কিন্তু আপনার ইন্সটল করা অ্যাপ্লিকেশন গুলো কোন চিন্তায় করে না এসব বিষয় নিয়ে। অ্যাপ্লিকেশন শুধু মাত্র আপনার দেওয়া কম্যান্ড গুলো অনুসরন করে কাজ করে এবং প্রয়োজনে অপারেটিং সিস্টেমের উপর কাজ চাপিয়ে দিয়ে বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।
চলুন অপারেটিং সিস্টেম কি তা বুঝাতে একটি সুন্দর উদাহরণ দেওয়া যাক। আপনার কম্পিউটারকে একটি অফিস হিসেবে কল্পনা করুন। যেখানে একজন টাইপার রয়েছেন যিনি শুধু টাইপ করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সে তার কাজ খুব ভালোভাবে করছে। সে কিন্তু কখনো এটা চিন্তা করবে না যে অফিসের ক্যান্টিন কীভাবে চলবে বা অফিস কীভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা যাবে বা অফিসের জানালা গুলো মুছতে হবে। অফিসটির ক্যান্টিন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখতে মনে করুন আরেকটি কোম্পানি কাজ করে। তার নাম মনে করুন সুযোগ সুবিধা ম্যানেজমেন্ট।
তো আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হলো সেই সুযোগ সুবিধা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। অপারেটিং সিস্টেম সকল খুঁটিনাটি কাজ সম্পূর্ণ করে থাকে যাতে অ্যাপ্লিকেশন তার নির্দিষ্ট কাজ আরো বেশি মনোযোগের সাথে করতে পারে। আশা করছি এই উদাহরণ থেকে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট ধারণা হয়ে গেছে।