Follow our Facebook Page BDMag24 Follow

ব্লুটুথ কীভাবে কাজ করে?


ব্লুটুথ একটি রেডিও তরঙ্গের উপর কাজ করা প্রযুক্তি, কিন্তু এই প্রযুক্তি বিশেষভাবে কম দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে (১০ মিটার অথবা ১০ ফিট)। সাধারনত, এই প্রযুক্তি আপনি ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে আপনার পিসিতে ফটো ডাউনলোড করার জন্য, আপনার ল্যাপটপের সাথে ওয়্যারলেস মাউস বা কীবোর্ড যুক্ত করার জন্য, অথবা আপনার ফোনের সাথে হ্যান্ডস-ফ্রী হেডসেট যুক্ত করে কথা বলতে আর নিরাপদে গাড়ি ড্রাইভ করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন।

যে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট গুলো এই প্রযুক্তির সাথে চলে তাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটি রেডিও অ্যান্টেনা লাগানো থাকে, যা সিগন্যাল ট্রান্সমিট এবং রিসিভ উভয়ই করতে পারে—সুতরাং এরা লাগাতার কোন ওয়্যারলেস সিগন্যালকে প্রেরন এবং গ্রহন করতে থাকে অন্য গ্যাজেট গুলোর সাথে। পুরাতন ডিভাইজ গুলোতে যাতে আগে থেকেই ব্লুটুথ থাকেনা, এতে এই প্রযুক্তি কাজ করানোর জন্য অ্যাডাপ্টারস লাগানোর প্রয়োজন পড়ে (যেমন পুরাতন ল্যাপটপ বা ডেক্সটপে ইউএসবি অ্যাডাপ্টার স্টিক লাগানোর প্রয়োজন পড়ে)। ডিভাইজের পাওয়ারের উপর নির্ভর করে ৩ শ্রেণির ব্লুটুথ দেখতে পাওয়া যায়।

ক্লাস ১ হচ্ছে সর্বাধিক শক্তিশালী শ্রেণি, যা ১০০ মিটার পর্যন্ত সিগন্যাল বিস্তার করতে পারে। ক্লাস ২ আমরা সর্বাধিক ব্যবহার করে থাকি, এটি ১০ মিটারের দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করতে পারে এবং ক্লাস ৩ হলো অনেক কম শক্তিশালী শ্রেণি যা মাত্র ১ মিটার পর্যন্ত কাজ করে।

ব্লুটুথ কীভাবে কাজ করে?
ব্লুটুথ প্রযুক্তি রেডিও তরঙ্গ ব্যান্ডে ৭৯ আলাদা আলাদা ফ্রিকুয়েন্সি (চ্যানেল) ব্যবহার করে ডাটা আদান প্রদান করে থাকে—এবং এটি ২.৪৫ গিগাহার্জের উপর কাজ করে। এই একই ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করে রেডিও, টেলিভিশন, সেলফোন, এমনকি কিছু মেডিক্যাল যন্ত্রপাতিও কাজ করে থাকে।

কিন্তু চিন্তার কোন কারন নেই, আপনার ফোনের ব্লুটুথ গিয়ে কারো লাইফ সাপোর্ট মেশিনের সাথে গণ্ডগোল পাকাবে না। কেনোনা আপনার ফোনে বা ডিভাইজে যে ট্রান্সমিটার লাগানো থাকে, তা অনেক কম শক্তিশালী হয়ে থাকে—ফলে এর সিগন্যাল এতোদূর বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা থাকেনা। এই প্রযুক্তি কম দূরত্বে কাজ করার এটিই হলো সবচাইতে বড় প্লাস পয়েন্ট।

এই প্রযুক্তি অনেক কম পাওয়ার ব্যবহার করে, তাই এর রেঞ্জ অনেক কম হয়ে থাকে—এবং তাত্ত্বিকভাবে এটি অন্যান্য বেশি রেঞ্জের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি হতে বেশি নিরাপদ (যেমন ওয়াইফাই)। কিন্তু তারপরেও ব্যাস্তবিকভাবে এর কিছু অসুবিধার দিকও রয়েছে। ব্লুটুথ ডিভাইজ গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে একে অপরকে সনাক্ত করতে পারে এবং সরাসরি একে অপরের সাথে কানেক্ট হতে পারে। একসাথে কানেক্ট থাকা ডিভাইজ গুলো একই সাথে একই সময়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই ডিভাইজ গুলো কখনোই একে অপরের কানেকশনে বাঁধা প্রদান করে না—কেনোনা প্রত্যেকে ৭৯ চ্যানেল থেকে আলাদা আলাদা ফিকুয়েন্সি ব্যবহার করে একে অপরের সাথে পেয়ার করে।

যদি আপনি একটি ডিভাইজের সাথে আরেকটি ডিভাইজ কানেক্ট করতে চান তখন তারা এলোমেলোভাবে কোন একটি চ্যানেল পিক করে। যদি সেই চ্যানেলটি আগে থেকে আশেপাশে কোথাও ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তবে আপনার ডিভাইজ গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরেকটি চ্যানেল পিক করবে এবং তার উপরে কাজ করবে (এই টেকনিক কে spread-spectrum frequency hopping বলা হয়ে থাকে)। যেকোনো ইলেকট্রিকাল যন্ত্রপাতির সাথে বাধাদান করার ঝুঁকি এড়াতে দুটি কানেক্ট থাকা ডিভাইজ সর্বদা এদের ফ্রিকুয়েন্সি পরিবর্তন করে কাজ করে (এক সেকেন্ডে প্রায় ১ হাজারবার চ্যানেল পরিবর্তন করে)।

একটি ডিভাইজ আরেকটি ডিভাইজের সাথে কানেক্ট থাকা অবস্থায় এবং ডাটা আদান প্রদান করা অবস্থায় আরেকটি ডিভাইজ একই সময়ে কানেক্ট হতে পারে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে রাখতে পারে। ব্লুটুথ প্রযুক্তি প্রযুক্তিতে একই সময়ে সর্বউচ্চ আটটি ডিভাইজ একই সাথে কানেক্ট থাকতে পারে।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.