Follow our Facebook Page BDMag24 Follow

সকল মোবাইল ডিস্প্লের বিস্তারিত জানুন!



আগে দর্শনধারী এরপর গুণ বিচারী। বাংলার এ প্রবাদটিই যেন মেনে চলে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। তাইতো ফোন তৈরির ক্ষেত্রে সকল নজর ডিসপ্লের দিকে। বাজারে থাকা নানা ডিজাইনের ও রংয়ের ফোনের মধ্যে ডিসপ্লের রকমফেরই বহুমুখী। তাই ফোন কেনা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডিসপ্লের বিষয়ে ধারনা থাকলে খারাপ কি?

ডিসপ্লের দিকে নজর পরে প্রথমে। তাই প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে বদলাচ্ছে ডিসপ্লের ধরনও। তাইতো হালের আমলে বাঁকা ডিসপ্লের স্মার্টফোন তৈরির দিকে ঝুকছে কোম্পানিগুলো। ইতোমধ্যে বাজারেও মিলছে এ ধরনের স্মার্টফোন।

এলসিডি ডিসপ্লেঃ
এলসিডির পূর্ণ নাম লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে। এটি পাতলা সমান্তরাল বৈদ্যুতিক প্রদর্শক, যা তরল ক্রিস্টালের আলোর পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে। কিন্তু এলসিডি সরাসরি আলো নির্গত করে না। নামটি যত জটিলই হোক না কেন বস্তুটি কিন্তু সকলের পরিচিত।
ক্যাসিও কোম্পানির তৈরি হাত ঘড়ি ও ক্যালকুলেটরের লেখা প্রদর্শন করার মাধ্যমে এটি সবচেয়ে দ্রুত পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পায়। আগে মোবাইল ফোনে এটি ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমানে নতুন প্রযুক্তির ডিসপ্লে আসার পর এটির ব্যবহার কিছুটা কম হচ্ছে মোবাইল ফোনে।

টিএফটি ডিসপ্লেঃ
টিএফটি ডিসপ্লে হল থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে। মোবাইল ফোনে সবচেয়ে বেশি এটি ব্যবহার করা হয়েছে। এলসিডি ডিসপ্লের থেকে এটি আরও বেশি উন্নত। এতে ব্যবহার করা হয়েছে থিন ফিল্ম ট্রানজিস্টর, যার ফলে ছবি নিখুঁতভাবে দেখা যায়।

এ ডিসপ্লেতে বেশি আলোয় বা সূর্যের আলোয় ছবি দেখতে বেশ অসুবিধা হয়। তা ছাড়া এতে ব্যাটারির চার্জও বেশ দ্রুত শেষ হয়। এ প্রযুক্তির ডিসপ্লে তৈরিতে খরচ অনেক কম। তাই কম ও মাঝারি দামের সেটগুলোতে এ ধরনের ডিসপ্লে ব্যবহার হয়।

গরিলা গ্লাস ডিসপ্লেঃ
গরিলা গ্লাস হলো অ্যালকালি-অ্যালোমিনোসিলিকেট যৌগের তৈরি এক ধরনের শক্ত ও মজবুত ডিসপ্লে। এটি স্মার্টফোনের পর্দাকে দাগ, আঁচড়, ঘষা-মাজা হাতুড়ির শক্ত আঘাত থেকেও রক্ষা করে। বর্তমানে অধিকাংশ মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ব্যবহার করছে।


আইপিএস ডিসপ্লেঃ
আইপিএসের পূর্ণরূপ হলো ইন-প্লেন সুইচিং। এটি টিএফটি এলসিডির থেকে উন্নত ডিসপ্লে প্রযুক্তি। এর পর্দায় যে কোনো দিক দিয়ে তাকালে মোটামুটি পরিষ্কার ছবি দেখা যায় এবং ছবি ও ভিডিও দেখতে অনেক বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না।


তাই ব্যাটারি খরচও কম এতে। এটি সাধারণ এলসিডি থেকে বেশি দামের বলে বেশি দামের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়।

রেটিনা ডিসপ্লেঃ
রেটিনা ডিসপ্লে নামটি শুনলে টেক জায়াল্ট অ্যাপলের কথা সবার মনে পরবে। অ্যাপল প্রথম এ ধরনের ডিসপ্লের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়। রেটিনা ডিসপ্লে স্মার্টফোনের পর্দার একটি সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ডিসপ্লে। যা আইপিএস এলসিডি ও ব্যাকলিট এলইডির সমন্বয়ে তৈরি।


ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন অত্যন্ত উচ্চ। ফলে এতে অত্যাধিক তীক্ষ এবং ছবি ও ভিডিও দেখা যায় খুবই স্পষ্ট। রেটিনা ডিসপ্লে প্রযুক্তি আইফোন ফোরএস, আইপ্যাড এয়ার, সেকেন্ড জেনারেশন আইপ্যাড মিনি, আইপড এবং ১৩ ও ১৫ ইঞ্চির ম্যাকপ্রোতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

ওএলইডি ডিসপ্লেঃ
ওএলইডি পূর্ণনাম হল অরগানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড ডিসপ্লে। এ প্রযুক্তির ডিসপ্লে অনেক উজ্জ্বল হয়ে থাকে। বিভিন্ন কৌণিক দিক থেকে সহজেই দেখা যায় এ ডিসপ্লের সাহায্য। ওএলইডি ডিসপ্লে ১৬ মিলিয়ন রং সমর্থন করে। এটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে খুব দ্রুত কাজ করে। এতে ছবি ও ভিডিও দেখতে কম শক্তির প্রয়োজন হয়। ফলে ব্যাটারি খরচও কম হয়।


অ্যামোলেড ডিসপ্লেঃ
অ্যামোলেডের পূর্ণনাম হল অ্যাকটিভ-ম্যাট্রিকস অরগানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড। এটি মোটামুটি ওএলইডি ডিসপ্লের মতো। এটির সবচেয়ে ভাল বৈশিষ্ট্য হল অন্ধকার আলো কিংবা সূর্যের আলোতেও কোনো সমস্যা ছাড়াই পরিষ্কার দেখা যায়। এর ডিসপ্লেতেও ছবি অনেক উজ্জ্বল দেখা যায়। এর পর্দাও অনেক বেশি সংবেদনশীল।


এ ডিসপ্লে ওএলইডি ডিসপ্লে থেকে কম শক্তির প্রয়োজন পরে। ফলে ব্যাটারি খরচ কম হয়। এ ধরনের ডিসপ্লে নির্মাণের খরচ বেশি হওয়ায় ব্যয়বহুল স্মার্টফোনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেঃ
অ্যামোলেড ডিসপ্লের উন্নতি প্রযুক্তিতে তৈরি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। স্যামসাং অ্যামোলেড ডিসপ্লের আদলেই এটি তৈরি করেছে। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের স্মার্টফোনগুলোতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এটির ডিসপ্লে সবচেয়ে হালকা। এতে অ্যামোলেড ডিসপ্লের থেকে সুবিধা অনেক বেশি রয়েছে। এবং ৩০% বেশি ব্যাটারি সেভ করে এবং ৪০% বেশি কালারফুল দেখা যায়।



ডাইনামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লেঃ
ডাইনামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের থেকে অনেক বেশি Advance ভাবে তৈরী করা হয়েছে। এই ডিসপ্লে স্যামসাং তাদের ফ্লাগশিপ মোবাইল গুলোতে বর্তমানে ব্যবহার করতেছে। যেমন এস টেন প্লাস, নোট টেন প্লাস।


পোষ্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং এক্সট্রা কিছু পেয়েছেন মনে হলে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ বিডিম্যাগ২৪.কম এর সাথে থাকার জন্য।

এম আর সাফিন

বিডিম্যাগ২৪.কম

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.