অনলাইন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া তিন আসামির মধ্যে মনিরুজ্জামান মনির (২১) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মনিরুজ্জামান মনির ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামসুল আরেফিন রাফাতকে (২১) দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর দিয়েছেন আদালত। আর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আকাশ হোসেনকে (২১) রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় গতকাল নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ অক্টোবর রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে রাফাতকে, ডেমরা থেকে মনিরকে ও গাজীপুরের বাইপাল থেকে আকাশকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফাহাদ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিন, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ও সদস্য মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ। আবরার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ডিউটি’ও খুলে দেওয়া হয়েছে কিনা সেটি এখনও অস্পষ্ট।